,

কাশিয়ানীতে রাস্তার কাজে বাঁধা: শিক্ষার্থী-এলাকাবাসীর ভোগান্তি

কাশিয়ানী (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি: প্রতিবেশীদের সাথে দ্ব›দ্ব থাকায় গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে একটি রাস্তার কাজে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।

স্থানীয় ওই ব্যক্তির বাঁধার মুখে তিন মাস ধরে কাজ বন্ধ রেখেছেন ঠিকাদার। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী।

ঠিকাদার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রাজপাট উত্তরপাড়া মসজিদ হতে রাজপাট উত্তরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত ৩০০ মিটার রাস্তায় এডিপির অর্থায়নে ইট সলিংয়ের কাজ চলছে। রাস্তার ১৮ মিটারের মতো জায়গা জড়িয়েছে একই গ্রামের সজিব শেখের। প্রতিবেশীদের সাথে সজিব শেখের দ্ব›দ্ব থাকায় প্রভাব খাটিয়ে তিনি তার অংশের রাস্তার ইট সলিংয়ের কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। এ বিষয় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও গণ্যমান্য ব্যক্তি অনুরোধ করলেও রাস্তার ওই অংশে কাজ করতে দেননি সজিব শেখ। এতে রাস্তার সিংহভাগ কাজ শেষ হলেও; পুরো কাজ সম্পন্ন করতে পারেনি ঠিকাদার।

ঠিকাদার নাজমুল হুদা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘রাস্তার কাজ করতে গিয়ে একাধিকবার সজীব শেখের বাঁধার মুখে পড়েছি। পথে বাঁশের বেড়া দিয়েও আটকে দিয়েছিলেন। আমার শ্রমিকদের ইট-বালু আনতে দেননি। রাস্তার কাজ এখন প্রায় শেষের দিকে। কিন্ত সজীব শেখের বাঁধার কারণে রাস্তার মুখে ১৮ মিটার জায়গায় কাজ করতে পারছি না।’

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অমিতোষ সরকার বলেন, ‘এক সময় আমার স্কুলে যাতায়াতের কোন রাস্তা ছিল না। এমপি মহোদয়ের সহযোগিতায় এখানে রাস্তাটি হয়েছে এবং ইট সলিংয়ের কাজ চলছে। কিন্তু সজীব শেখের বাঁধার কারণে ঠিকাদার রাস্তার কাজ সম্পন্ন করতে পারছেন না। রাস্তাটি কাঁচা হওয়ায় বর্ষাকালে শিক্ষার্থীদের স্কুলে আসতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তাই দ্রæত সমস্যার সমাধান করে রাস্তার ইট সলিংয়ের কাজ সম্পন্ন করার দাবি জানাচ্ছি।’

সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও রাজপাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. তৌফিকুর রহমান নিজাম বলেন, ‘রাজপাট উত্তরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চলাচলের একমাত্র রাস্তা এটি। রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন শত শত কোমলমতি শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী চলাচল করে থাকেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় একটি ব্যক্তির কারণে রাস্তার কাজ করতে গিয়ে বার বার বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছেন ঠিকাদার। স্কুল ও এলাকাবাসীর স্বার্থে বিষয়টি দ্রæত সমাধানের দাবি জানাচ্ছি সংশ্লিষ্টদের কাছে।’

এসব অভিযোগ অস্বীকার করে সজীব শেখ বলেন, ‘রাস্তায় জমি দিতে আমার কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু আমার প্রতিপক্ষ আমার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা-মোকাদ্দমা করে আমাকে হয়রানী করেছে। গ্রাম্য সালিশ আমাকে কোন বিচার দেয়নি। এছাড়া রাস্তার জন্য কেউ আমার কাছে আসেনি। তবে উন্নয়নের স্বার্থে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা যে সিদ্ধান্ত দিবেন, আমি সেটাই মেনে নেবো।’

রাজপাট ইউপি চেয়ারম্যান মো. মিলটন মিয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘কাঁচা রাস্তাটি চলাচলের উপযোগি করার এলজিইডির আওতায় এডিপির অর্থায়নে ইটের সলিংয়ের কাজ করা হচ্ছে। কিন্তু স্থানীয় এক ব্যক্তির বাঁধার কারণে ঠিকাদার কাজ করতে পারছেন না। তবে দ্রæত সমাধানের চেষ্টা করবো।’

এই বিভাগের আরও খবর